উজানে বৃষ্টি কমলেও নামছে না বন্যার পানি
- আপডেট সময় : ১১:০০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে মাত্র ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা এবং ফেনীতে খুবই সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হতে পারে। অন্যদিকে ত্রিপুরায়ও বৃষ্টিপাত কমেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে পানি নামা নিয়ে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।
ভারী বর্ষণের কারণে ৩১ বছর পর ভারতের ত্রিপুরার গোমতী নদীর ওপর ডম্বুর ড্যাম খুলে দেওয়ায় আকস্মিক বন্যার শিকার হয়েছে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল। ভারতের ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশে বৃষ্টি কমলেও অতিদ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই। ফলে নতুন নতুন এলাকায় পানিবন্দি হচ্ছে হাজারো মানুষ।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গত ২০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে ফুলমুন বা পূর্ণিমা। যার ফলে যমুদ্রে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি। তবে পূর্ণিমার প্রভাব এখন ধীরে ধীরে কমলেও ভাদ্র মাসে বঙ্গোপোসাগরে জোয়ারের মাত্রা বেশি থাকার প্রবণতা থাকে। এসময় জোয়ারের পানিও ঢুকে পড়ে, ফলে বন্যার পানি নিষ্কাশনে সময় লাগছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উজান-ভাটি দুই জায়গায় বৃষ্টি কমেছে। যদিও ভারতের পানি আসাও এখনো অব্যাহত। আমাদের পানিপ্রবাহ ঠিক নেই। পানিপ্রবাহ ঠিক হলে পানি দ্রুত নেমে যেতো।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ এজাজ জাগো নিউজকে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের জলাধারগুলো অব্যবস্থাপনায় পানি ধারণ ক্ষমতা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। তাই ভারতের পানির পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে অতিবৃষ্টির ইভেন্টেই আমরা বন্যার কবলে পড়ছি। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশের নদীগুলো দখল ও ভরাট করে গণলুটপাট হয়েছে। কুমিল্লা ও ফেনীতে নদী দখল করে পানি সরবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তাহলে বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে করবে কিভাবে?
তিনি আরও বলেন, ফেনীর মুহুরী প্রজেক্ট এই মুহূর্তে গলার কাটা কি না সেই পর্যালোচনাও জরুরি। উজানের যে পানি নেমে আসে তার কত শতাংশ বঙ্গোপসাগরে ওয়াস্টেড হয় সেই উত্তর আগের সরকার দেয়নি। আমাদের নদীগুলোর সম্মিলিত পানি ধারণক্ষমতা কত? এটার জবাব যৌথ নদী কমিশন কি দিতে পারবে?
এদিকে পানি নামার বিষয়ে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, পানি আসা এখনো অব্যাহত। এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ত্রিপুরা দিয়ে পানি আসা কমলে এখানেও পানি কমতে পারে।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসাইন খান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দেশে পানিপ্রবাহ ঠিক নেই। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা, অবাকাঠামোগত নির্মাণ বন্ধ করা উচিত, যেন পানির প্রবাহ ঠিক থাকে এবং সাগরে পতিত হতে পারে।
আরএএস/ইএ