আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের
- আপডেট সময় : ০৩:২৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। …উনি (আইন উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভবত (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) পুনর্গঠিত হবে। আদালত পুনর্গঠিত হলে বিচারের যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, সেটি শুরু হবে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতদের দেখতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান চিফ প্রসিকিউটর।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সিএমএইচে ১ হাজার ২২৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সার্জারি হয়েছে ৩৪১ জনের। এখন পর্যন্ত ১৩২ জন সেখানে ভর্তি আছেন।
তিনি আরও বলেন, একজন রোগীর পিঠ থেকে যে গুলি অপসারণ করা হয়েছে, সেটি একটি বড় বুলেট। সামরিক বাহিনী যে বন্দুক ব্যবহার করে, সেই বন্দুকের গুলি সেখানে পাওয়া গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দেশব্যাপী যেসব অপরাধ হয়েছে, যেগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেগুলোর বিচার শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের আগে কোনো থানায় বা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়ে থাকলে সেগুলো প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসব। সেই তদন্তটা মূলত করবে আমাদের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত করে তা ট্রাইব্যুনালের কাছে মামলা আকারে উপস্থাপন করব। সে ক্ষেত্রে মামলা কয়টা হবে, সে বিষয়টা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এতে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরও চারজন আইনজীবীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিয়োগ পাওয়া বাকি চার আইনজীবী হলেন—মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এই ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছিল।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ১৯টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
ইএস/জেএইচ