ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
পোস্টমাস্টার জেনারেল এর কার্যালয় রাজশাহী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি PMGNC Activity Round 2025 bdnewspost.com ” জামেয়া মহিলা কামিল মাদরাসায় মূল্যবান কিতাব প্রদান ” bdnewspost.com সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ SKH Task Round 2025 bdnewspost.com চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি CJM Task Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ ডাক বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Put up Place of work Activity Round 2025 bdnewspost.com মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি SHED Process Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BAC Process round 2025 bdnewspost.com নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Place of job Process Round 2025 bdnewspost.com মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি MPL Activity Round 2025 bdnewspost.com পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি MOWR Activity Round 2025 bdnewspost.com

অতিদ্রুত সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে সরকার: মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৮ বার পড়া হয়েছে


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই মুহূর্তে ধৈর্য্য ধরে সহনশীলতার সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। তাদেরকে কাজ করতে দিন। অতিদ্রুত সংস্কার কাজে তারা হাত দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো দরকার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই কাজগুলো অতিদ্রুত শেষ করে একটা নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। যে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধ ‍সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। তারপরই বাকি কাজগুলো তারা সম্পন্ন করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলেছি, নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সংস্কারগুলো অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেমন, আমাদের অনেককেই শাস্তি দিয়ে দিয়েছে। আমাদের শাস্তি দেয়ায় দুই বছর তো নির্বাচনে করতে পারব না। সেটার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন তো। আর অন্যান্য সংস্কার যেগুলো আছে সেটা যে সরকার জনগণের ভোটে আসবে তারা করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাষ্ট্র মেরামতে প্রণীত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি যে, প্রশাসন এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারে নাই। এই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে, এতো ডিপ রুটেড চলে গিয়েছিলো ফ্যাসিবাদ ডিপ স্টেট তৈরি হয়েছিলো যে, সেখান থেকে ফ্যাসিবাদী বিরোধী লোকজনকে খুঁজে বের করা কঠিন হয়েছে। এখানে আমাদের প্রয়োজন ঐক্য অটুট রাখা, ধৈর্য্য রাখা, এই সরকারের সমস্ত কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা।

নিজের মধ্যকার সম্মিলিত ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই মুমূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কী? আমরা ফ্যাসিবাদকে সরিয়েছি, হাসিনাকে সরিয়েছি। এখন একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদেরকে অতিদ্রুত আমাদের সকলের মতামত নিয়ে একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে তারা নির্বাচনে যাবে। যে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অনেক সময় দেখা যায় অত্যন্ত দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা এমন এমন কথা বলেছেন যে, যেটা সামগ্রিক ঐক্যের জন্য উপযোগী নয়। এটা একটা সমস্যা।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। এটা করেই কিন্তু যারা দুষ্টু, যারা সবসময় ফয়দা লুটতে চায় তারা বলে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ তুলনা হতেই পারে না। কারণ আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়, গণবিরোধী একটা দল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণতান্ত্রিক মানুষকে হত্যাকারী একটি দল। আর বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রকে জীবন্ত করার দল। ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান একদলীয় রাজনীতি থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। আমরাই কেয়ারটেকার সিস্টেম চালু করেছি। সুতরাং এদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার ফান্ডামেন্টাল জিনিস প্রত্যেকটা আমাদের হাতে গড়া এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/কেএইচ




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অতিদ্রুত সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে সরকার: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই মুহূর্তে ধৈর্য্য ধরে সহনশীলতার সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। তাদেরকে কাজ করতে দিন। অতিদ্রুত সংস্কার কাজে তারা হাত দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো দরকার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই কাজগুলো অতিদ্রুত শেষ করে একটা নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। যে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং জনগণ অবাধ ‍সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। তারপরই বাকি কাজগুলো তারা সম্পন্ন করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলেছি, নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সংস্কারগুলো অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেমন, আমাদের অনেককেই শাস্তি দিয়ে দিয়েছে। আমাদের শাস্তি দেয়ায় দুই বছর তো নির্বাচনে করতে পারব না। সেটার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন তো। আর অন্যান্য সংস্কার যেগুলো আছে সেটা যে সরকার জনগণের ভোটে আসবে তারা করবেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো রাষ্ট্র মেরামতে প্রণীত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথাও বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি যে, প্রশাসন এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারে নাই। এই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে, এতো ডিপ রুটেড চলে গিয়েছিলো ফ্যাসিবাদ ডিপ স্টেট তৈরি হয়েছিলো যে, সেখান থেকে ফ্যাসিবাদী বিরোধী লোকজনকে খুঁজে বের করা কঠিন হয়েছে। এখানে আমাদের প্রয়োজন ঐক্য অটুট রাখা, ধৈর্য্য রাখা, এই সরকারের সমস্ত কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা।

নিজের মধ্যকার সম্মিলিত ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই মুমূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কী? আমরা ফ্যাসিবাদকে সরিয়েছি, হাসিনাকে সরিয়েছি। এখন একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদেরকে অতিদ্রুত আমাদের সকলের মতামত নিয়ে একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে তারা নির্বাচনে যাবে। যে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অনেক সময় দেখা যায় অত্যন্ত দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা এমন এমন কথা বলেছেন যে, যেটা সামগ্রিক ঐক্যের জন্য উপযোগী নয়। এটা একটা সমস্যা।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার। এটা করেই কিন্তু যারা দুষ্টু, যারা সবসময় ফয়দা লুটতে চায় তারা বলে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ তুলনা হতেই পারে না। কারণ আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়, গণবিরোধী একটা দল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গণতান্ত্রিক মানুষকে হত্যাকারী একটি দল। আর বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রকে জীবন্ত করার দল। ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান একদলীয় রাজনীতি থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। আমরাই কেয়ারটেকার সিস্টেম চালু করেছি। সুতরাং এদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার ফান্ডামেন্টাল জিনিস প্রত্যেকটা আমাদের হাতে গড়া এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/কেএইচ